• খুলনা মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল

কোর্স সম্পর্কিত তথ্য

খুলনা ম্যাটস পরিচালিত কোর্সের বিবরণ
কোর্সের নাম কোর্সের সময় আসন সংখ্যা সার্টিফিকেট প্রদানকারী
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং ৪ বৎসর (১ বৎসর শিক্ষানবীশকালসহ) ১২০ বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ

কোর্সের সময়কাল :
মেডিকেল এ্যাসিন্টেন্ট কোর্সটির মূল মেয়াদকাল ৩ বৎসর, প্রতি বৎসরের শেষে একটি করে পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষাটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ। ৪ বৎসর মেয়াদী কোর্সটির প্রথম ৩ বৎসরের পরীক্ষা ব্যভস্থা নিম্নরূপ :
১) ১ম বর্ষের শেষে ১ম বর্ষের পরীক্ষা।
২) ২য় বর্ষের শেষে ২য় বর্ষের পরীক্ষা।
৩) ৩য় বর্ষের শেষে ৩য় বর্ষের পরীক্ষা।
৪) ৪র্থ বর্ষ শুরু হবে ৩য় বর্ষের সকল পরীক্ষা সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর। ৪র্থ বর্ষে কোন বিভাগীয় হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষানবীশী করতে হবে।
এইভাবে মোট ৪ বৎসরের কোর্সটি সম্পন্ন হবে।
• প্রতি বর্ষের পরীক্ষা বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক ঘোষিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

যারা এই কোর্সের জন্য উপযুক্ত :

• যারা বায়োলজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন নিয়ে এসএসসি পাশ করেছে।
• যারা কমপক্ষে জিপিএ ২.৫০ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে।
• এসএসসি পাশ করার ৪ বৎসরের মধ্যে এই কোর্সের জন্য আবেদন করা যাবে।

ভর্তি ও টিউশন ফিস :

• ভর্তি ফিস ১০,০০০/- (এককালীন)
• উন্নয়ন ফিস ১০,০০০/- টাকা (প্রতি ৬ মাসে)
• মাসিক ফিস ১,৫০০/-( প্রতি মাসে)
গরীব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা আছে।

এই কোর্সের সুবিধা :

• দ্রুত ক্যারিয়ার গঠন।
• প্রশিক্ষণকালেই আত্মনির্ভরশীলতা তৈরী।
• দেশের বাইরে চাকুরীর সুযোগ।
• কোর্সটি সম্পন্ন করার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপ-সহকারী কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকুরির নিশ্চয়তা।

ভর্তির প্রক্রিয়া :

• খুলনা ম্যাটস-এর অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে প্রার্থীর স্বহস্তে ফরমটি পূরণ করতে হবে।
• ভর্তি ফরম, নির্দেশিকা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র খুলনা ম্যাটস-এর অফিস থেকে পাওয়া যাবে (উপযুক্ত মূল্যের বিনিময়ে)।
• ভর্তি ফরম ও কাগজপত্র জমা দিয়ে ভর্তির কাউন্টার থেকে প্রার্থীকে সিরিয়াল নম্বরযুক্ত একটি রিসিপ্ট সংগ্রহ করতে হবে।
• প্রার্থীকে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে (যা কোর্স সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে জমা থাকবে) তা হল :
১) এসএসসি পাশের মূল সনদপত্র অথবা প্রসংশাপত্র।
২) এসএসসি পাশের মূল নম্বরফর্দ।
৩) নাগরিকত্বের সনদপত্র অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (যদি থাকে)।
৪) প্রার্থীর ৪ কপি পাসপোর্ট ও ৪ কপি স্ট্যাম্প সাইজের (মোট ৮ কপি) সদ্য তোলা ছবি।
কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের পর নির্বাচন কমিটি উপযুক্ত প্রার্থীকে ভর্তির জন্য ডাকবে।

খুলনা ম্যাটস-এর বিশেষত্ব ও সুযোগ সুবিধা :

ভবিষ্যতের একজন সফল মেডিকেল এ্যাসিন্টেন্ট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য খুলনা ম্যাটস-এর ছাত্রছাত্রীরা সবসময়ই অভিজ্ঞ শিক্ষকগণের কাছ থেকে সেরা প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা পেয়ে থাকে। তাদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করার জন্য সাপ্তাহিক, মাসিক পরীক্ষাসহ প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। এমনকি যারা হোস্টেলে থাকে তাদেরও শিক্ষকগণ গাইড করে থাকেন। আধুনিক ও আনন্দায়ক পরিবেশে সাম্প্রতিকতম তথ্যবলীর মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার জন্য খুলনা ম্যাটস সর্বদা সচেষ্ট।
আমাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে নিজেদেরই শিশু পরিচর্যা ক্লিনিক রয়েছে (কিন্ডার ক্লিনিক) যেখানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও আরো কিছু হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত ও বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ারের শুরুর ভিতটি মজবুত করে গড়ে তোলা হয়।
ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ফল পাওয়ার জন্য খুলনা ম্যাটস-এর রয়েছে পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো ও অনুষদীয় সহযোগিতা। আমাদের ক্যাম্পাসটি খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। একটি ছয়তলাবিশিষ্ট ভবনে একইসাথে একাডেমিক লেখাপড়া ও ছাত্রীদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রদের জন্য আমরা কাছাকাছি জায়গায় হোস্টেলের ব্যবস্থা করে দিই। আমাদের নিম্নোক্ত সুবিধাসম্বলিত পরিকাঠামো রয়েছে :
• প্যাথলজ্যিাল ল্যাবরোটারী।
• কম্পিউটার ল্যাব।
• পড়ার রুমসহ সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার।
• আধুনিক শ্রেণিকক্ষ।
• আলাদা প্রশাসনিক দপ্তর।
• মেয়েদের জন্য আলাদা ৫০ সীটবিশিষ্ট হোস্টেল।